ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
পাবনায় ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসি

পাবনা: পাবনায় গার্মেন্টস কর্মী কাকলীকে (৩০) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি ইকবাল হোসেন (৪৪) ও আজিম হোসেনকে (৪৫) ফাঁসি দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওয়ালিউর রহমান এ রায় দেন। এ মামরায় তিনজনের মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনা জেলার সুজানগর থানার বনগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন ও তার বন্ধু ঢাকা নবীনগরের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন।

মৃত কাকলী খাতুন রাজবাড়ী জেলার কালুখালী গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি ইকবাল ও আজিম ঢাকা থেকে কাকলীকে পাবনার সুজানগরে নিয়ে আসেন। এরপর রাতে উপজেলার রামজীবনপুর মাঠের একটি নার্সারির মধ্যে তাকে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রওশন মিয়া ঘটনাস্থল থেকে কাকলীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাবনার সুজানগর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে আসামিদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ কারা হলে  তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রওশন আজিম ও ইকবালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন।

মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন- পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট কাজি মকবুল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।