বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত টুম্পা আক্তার আমড়াঝুড়ি ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন ফকিরের মেয়ে ও আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিইসি পরীক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে টুম্পা পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে কাউখালী থেকে আরও প্রায় ১৫ জন সহপাঠিদের সঙ্গে ট্রলারে করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমরাজুড়ী ফেরিঘাটে যায়। পরে নদী পারাপারের জন্য ট্রলারে ওঠে। এসময়ে খেয়া ট্রলারটি ৩০-৪০ জন যাত্রী ও ৫-৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে অতিরিক্ত বোঝাই করে অপর পাড়ে যাওয়ার সময় ডুবে যায়। এদের মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও সানজিদা আক্তার টুম্পা উঠতে পারেনি। সে থেকে টুম্পাকে উদ্ধারের জন্য বরিশাল ও কাউখালীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নদীতে খুঁজতে থাকেন। পরে রাত ৮টার দিকে ডুবরিরা সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটির মধ্য থেকে টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
আরএ