ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নবসজ্জিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন খুলছে ৯ ডিসেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
নবসজ্জিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন খুলছে ৯ ডিসেম্বর ফাইল ফটো

ঢাকা: সিঙ্গাপুর থেকে নকশা করে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আধুনিকায়নের পর খুলে দেওয়া হচ্ছে আগামী ৯ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন নবসজ্জিত মিলনায়তনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। 

এছাড়া, একই দিন প্রধানমন্ত্রীর এ মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে নবাব আবদুল গনি রোডে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামে নামকরণ করা প্রায় চার দশকের পুরনো মিলনায়তনটি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর সংস্কারের কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ কাজ কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদের প্রায় সাত মাস আগেই এর আধুনিকায়ন শেষ হয়।

ঢাকার অন্যতম আধুনিক মিলনায়তনে পরিণত হতে যাওয়া ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আধুনিকায়নের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে অ্যাকুয়েস্টিক ডিজাইন করে আনা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধীবান্ধব আসন ও প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে হুইল চেয়ার বহনযোগ্য লিফট স্থাপন করা হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমসহ যুগোপযোগী অডিও আউটপুটের ব্যবস্থা করা হয়, রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইটিং।

মিলনায়তনে একটি ভিভিআইপি অফিস ও দু’টি কনফারেন্স রুম নির্মাণসহ নিরাপত্তায় সিসিটিভি, নেটওয়ার্কিং ওয়াইফাই ও এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে।

রূচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কারের মাধ্যমে এ মিলনায়তনে পরিশীলিত ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব সুবিধায় মিলনায়তনটি আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে জানানো হয়েছে।

নবসজ্জিত মিলনায়তনটি ঘুরে দেখেছেন গণপূর্তমন্ত্রী।  ছবি: সংগৃহীত

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবসজ্জিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি সম্পূর্ণ মিলনায়তন ঘুরে দেখেন ও এটি পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসিরসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।