বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাই সবার সহায়তায় সমন্বিতভাবে পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করতে।
নির্বাহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করবেন এবং সন্দেহজনক লেনদেন সংঘটিত হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্টিং এজেন্সিকে রিপোর্ট করবেন। প্রতিটি লেনদেনের ডিজিটাল রসিদ রাখতে হবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনে একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তিনি অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে আপনাদের কাছে তথ্য চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য দেবেন।
এসময় বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের সব রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন চাইলে এসব লেনদেনের তথ্য আমরা সরবরাহ করব।
তিনি বলেন, সন্দেহজনক লেনদেন হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়মিত জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রকেটের এসইভিপি আবেদুর রহমান সিকদার, বিকাশের হেড অব রেগুলেরটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. মেজবাউল হক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আনম আল ফিরোজ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
এরপর একইস্থানে কুরিয়ার সার্ভিসের নির্বাহীদের নিয়ে বৈঠক করেন দুদক চেয়ারম্যান।
এসময় চেয়ারম্যান বলেন, মালামাল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের সঠিক পরিচয় কুরিয়ার সার্ভিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ