বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
তিনি বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো কাছে মাথা নত করে নয়, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।
সশস্ত্র বাহিনী সর্বাবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সব সময়, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে।
সন্ত্রাস-মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যদি শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে তাহলে অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী, অগ্রগতি হতেই হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চাই।
দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ শতাংশ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। অর্থাৎ, আমরা যত বার্ষিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করি তার ৯০ শতাংশ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, দেশকে আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্রকে বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বাজেট আমরা বাড়িয়েছি। সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী।
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যকক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন করেন।
এসময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আমন্ত্রিত রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমইউএম/এএ