ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রাজ্জাক খাঁন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খাঁন জানান, বিকেলে কদম শহর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় জমজ ভাই শান্ত ইসলাম ও স্বপন ইসলাম।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় মাঠ থেকে তারা কদম শহর বাজারের দিকে চলে আসে। এ সময় দুই পরিবারের লোকজন গিয়ে সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে অভিভাবকের উপস্থিতিতেই প্রতিপক্ষ মাজু জমজ ভাই শান্ত ও স্বপনকে ছুরিকাঘাত করেন। এরমধ্যে শান্তের গলায় ছুরিকাঘাত করলে তার শ্বাসনালী কেটে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বপন ইসলামকে হাসপাতালের ৪ নম্বর নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে সাজু ও মাজু পলাতক৷ তবে তার মা ও দাদীকে আটক করে নিয়ে গেছে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
ঘটনাটি প্রথমে অন্যরকম শোনা গেলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হন বলেও উল্লেখ করেন, গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খাঁন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, শান্তের মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/