ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মকর্তারা অবৈধপথে গেলে আমাদের ব্যর্থ হতে হয়: ইকবাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
কর্মকর্তারা অবৈধপথে গেলে আমাদের ব্যর্থ হতে হয়: ইকবাল আলোচনা সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমাদের কর্মকর্তারা যখন নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে পারেন না, তারা যখন তথ্য পাচার করেন কিংবা অনুসন্ধান বা তদন্তে নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেন না অথবা অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়েন, তখনই আমাদের ব্যর্থ হতে হয়। আর তারা যদি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজগুলো করেন, তাহলে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে মানুষের আস্থারও বৃদ্ধি ঘটবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আত্ম সমালোচনা করতে হবে।

গত বছর আমরা কী করেছি, কী করার ছিল, কী করিনি কিংবা আগামী বছর কী করব- এসব নিয়ে নিজেদের আত্ম জিজ্ঞাসা করতে হবে। এছাড়া কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়া হবে উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ। আমরা আমাদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাই না। সফলতা না বললেও ব্যর্থতা বলতে চাই।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সফলতা যতটুকু সবটাই আপনাদের। আর ব্যর্থতাটুকু আমাদের। তবে আগামী বছর আপনাদের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স অ্যাপ্রেইজাল সংযোজন করা হবে এবং তা সবাইকে পরিপূর্ণভাবে পরিপালন করতে হবে। বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের পরিবর্তে অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স অ্যাপ্রেইজাল প্রচলন করা হবে। এসময় তিনি প্রশাসন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ডিসেম্বর মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি করার অনুরোধ জানান। যেসব কর্মকর্তা অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স অ্যাপ্রেইজাল অনুসারে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। শৃঙ্খলা-আপীল বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তাই অভিযোগ ব্যবস্থাপনায় আরও জবাবদিহিতার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় কি-না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। আর এটা করা গেলে কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস। জনগণকে কমিশনের এসব কর্ম প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও স্বচ্ছ করা হবে।

কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেবার জোগান দিতে না পারার কারণেই হয়তো আস্থার ঘাটতি কিছুটা রয়েছে। আর আস্থা তখনই বৃদ্ধি পাবে যদি আমরা আচরণ, নৈতিকমূল্যবোধ, কর্মপদ্ধতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস অর্থাৎ সার্বিক  নৈতিক চেতনার অন্তর্নিহিত বিকাশ ঘটাতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কমিশনের গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সবসময় স্বাগত জানাই। সমালোচনার মাধ্যমে কেউ যদি আমাদের কর্ম-প্রক্রিয়ায় ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারেন, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাব। কিন্তু কেউ যদি সমালোচনার জন্যই সমালোচনা করেন, এটা দুঃখজনক।

সভায় অন্যন্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পরিচালক মো. আক্তার হোসেন, নাসিম আনোয়ার, উপ পরিচালক মো. তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।