সন্ধ্যায় নগরীর রয়্যাল মোড় এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে যায়। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হয়।
খুলনা থেকে ঢাকা যেতে ইচ্ছুক মাহবুব নামের এক যাত্রী বলেন, বাস চলাচলের খবর শুনে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হয়ে এসেছি। আমার সাথে দুই জন রোগী রয়েছেন। কাউন্টারগুলোতে এসে দেখি কোনো টিকিট নাই। আগামীকাল সকালের ছাড়া টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
সাতরাস্তা মোড়ের দিদার পরিবহন কাউন্টারের বুকিংসহকারী বলেন, রয়্যাল ও সাত রাস্তা মোড় থেকে সন্ধ্যার পর সব বাস ছেড়ে গেছে। তাই আমরাও বাস চালু করেছি।
খুলনা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, আমরা কখনোই বাস বন্ধ করতে বলিনি। কিন্তু চালকরা তা শোনেনি। তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকায় বৈঠক হয়েছে। তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরেও আলোচনা হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় বাস চালু করার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে বাস চালকরা।
টানা পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর চাপ অনেক বেশি। যাত্রীসংখ্যাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যান ট্রেনে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমআরএম/এমএমএস