বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আক্কাস আলীকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইতিপূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করা হল।
আইন বিভাগের শিক্ষক মো: আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি এবং সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো: জামাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের এ কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস এ এস্কান্দার আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, ফার্সেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামস্ আরা খান ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাপস বালা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীসহ তার বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের কারণে এর আগে আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিভাগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে পুনঃকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আক্কাস আলী গত ডিসেম্বর মাসে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়াসহ যৌন হয়রানী করে আসছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবীতে আন্দোলনে নামে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আক্কাস আলীকে বিভাগীয় সভাপতি পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট আট সেমিস্টারের জন্য সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে নভেম্বর মাসে আক্কাস আলী ও তদন্তকারী দলের প্রধান অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রহিম খানের ফোনালাপ ফাঁস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘন্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
ডিএন/এমএমএস