ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু নিয়ে রেজ্যুলেশন গৃহীত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
জাতিসংঘে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু নিয়ে রেজ্যুলেশন গৃহীত

ঢাকা: ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ তন্তু ও টেকসই উন্নয়ন’ শিরোনামে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার বিষয়ক একটি নতুন রেজ্যুলেশন গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতিসংঘের চলতি ৭৪তম সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হয়। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেজ্যুলেশনটি দ্বিতীয় কমিটিতে উত্থাপন করে। দীর্ঘ প্রায় তিনমাসের টানা নেগোসিয়েশনে পক্ষে-বিপক্ষের মতামত বিবেচনায় নিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই রেজ্যুলেশন গ্রহণের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়। ভারত, চীন, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, মিশর, নাইজেরিয়াসহ ৬৮টি দেশ রেজ্যুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করে।

এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম রেজ্যুলেশন যেখানে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতগতভাবে টেকসই, সামাজিকভাবে লাভজনক কৃষিপণ্য পাট, অন্য প্রাকৃতিক তন্তুর চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবতা তুলে ধরা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে প্রাথমিকভাবে রেজ্যুলেশনটিতে পাট এবং অন্য প্রাকৃতিক তন্তু যেমন অ্যাবাকা, কয়ার, কেনাফ, সিসাল, হেম্প ও রামির ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে যা এতোদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রায় অজানাই ছিল।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক নীতি-কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার দিয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করেছে, ক্ষুদ্র কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুরক্ষিত করেছে। আর এ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্রাকৃতিক তন্তুগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত উপকারিতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজ্যুলেশনটি উত্থাপনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিল বাংলাদেশ।

রেজ্যুলেশনটি গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হবে তা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে সংক্ষেপে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। তিনি বলেন, রেজ্যুলেশনটি পাট ও অন্য প্রাকৃতিক তন্তুজাত পণ্যের জন্য একটি শক্তিশালী, কার্যকর ও সুনিপুণ ‘গ্লোবাল ভ্যালু চেইন’ এর পথ পাকা করলো। ফলে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৈশ্বিক বাজারে বাড়বে।  

দ্বিতীয় কমিটিতে গৃহীত এ রেজ্যুলেশন আগামী ডিসেম্বর মাসে সাধারণ পরিষদের প্ল্যানারিতে উপস্থাপিত হবে। এখন থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে এ রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘে আলোচিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।