ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সার্কের স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান জরুরি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
সার্কের স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান জরুরি

ঢাকা: সার্কের স্বার্থের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা যদি আন্তর্জাতিকভাবে সমাধান না হয় এ অঞ্চলে শিগগিরই বিভিন্ন অন্তর্ঘাতমূলক জঙ্গি, মৌলবাদী কাজ শুরু হবে যা থেকে ভারত, বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ বাদ পড়বে না।

এ অঞ্চলের স্বার্থের জন্য, সার্কের স্বার্থের জন্য এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ঢাবির এ অধ্যাপক বলেন, এই সম্মেলনে আমরা আশা করবো রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে এবং যদি আমরা পাকিস্তানিদের বিচার করতে পারতাম তাহলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ কাজ করার সাহস পেতো না। সেজন্য আমরা মনে করি ঘাতক খুনিদের বিচার হওয়া উচিত। আজ বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশ পাকিস্তানিদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে আমরা পাকিস্তানিদের বিচার করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৫০ বছর পরে গণহত্যা জাদুঘর করেছি। স্বপ্ন দেখেছি বলেই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।  

‘আমাদের বিজয়ের ইতিহাসের পাশাপাশি গণহত্যার ইতিহাস বলতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে খালেদা-নিজামী ক্ষমতায় থেকে সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমরা সব সময়ই গণহত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কারণে সেই বিচার কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। ’

স্বাগত বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাশেম খান বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য-উপাত্ত উঠে আসবে যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ করবে।  

বিশ্বজুড়ে যেসব গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে তার বিরুদ্ধে মানুষ সচেতন হবে। তরুণ প্রজন্ম গণহত্যাকারীদের রুখে দিতে শক্তি সঞ্চয় করবে। একই সঙ্গে তরুণরা গণহত্যার সহযোগী ও সহায়তাকারীদের প্রত্যাখ্যান করার সাহস পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।