ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরায় গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
উত্তরায় গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন উত্তরায় কার ফ্রি স্ট্রিট উদ্বোধন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁ জনপথ সড়কের একপাশে কার ফ্রি স্ট্রিট (গাড়িমুক্ত সড়ক) উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১১ নম্বর সেক্টরের ২/এ এলাকা থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক গাড়িমুক্ত থাকবে। অন্য দিনগুলোতে সড়কটিতে যথারীতি বাস, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন করেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. সাহারা খাতুন ও ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, নারী কাউন্সিলর শাহনাজ পারভীন মিতু, জাকিয়া সুলতানা, ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেদার লেলে ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাহারা খাতুন বলেন, শিশুদের মনের বিকাশের জন্য খেলাধুলা প্রয়োজন। প্রত্যেকটি শিশুকে খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। মন-মানসিকতা পরিবর্তন করে এখানে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের এ উদ্যোগ স্বার্থক হবে।

বিশেষ অতিথি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ৮০ শতাংশ ছেলে-মেয়ে দিনে দুই ঘণ্টা মোবাইলে ভিডিও দেখে। এমনকি খাবার খাওয়ার সময়ও ভিডিও দেখতে হয়। বাচ্চারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে গেছে। শিশুরা ডিপ্রেশনে ভুগছে।

তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের তিন-চার ঘণ্টা কষ্ট হলেও এখান থেকে যদি একটি বাচ্চার পরিবর্তন হয়, তাহলেই আমরা সার্থক। আমাদের লক্ষ্য বাচ্চাদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখা, জঙ্গিমুক্ত সমাজ গড়া। এখানে শিশুরা আসলে সামাজিকতা শিখবে, ধনী-গরিবের ব্যবধান কমবে।

সরকারি খাল, নদী, মাঠের জায়গা দখলকারীদের সতর্ককার্তা দিয়ে মেয়র বলেন, সড়ক বন্ধ করে খেলার জায়গা তৈরি করা মানে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। এসময় দখল করা জায়গা উদ্ধার করে মাঠ তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।

জানা যায়, প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গাড়িমুক্ত এ সড়কে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফুর্তভাবে ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারাম, দাবা, বাস্কেটবল, স্কেটিং, সাইক্লিং, ওয়াকিং, গান, ছবি আঁকা, বই পড়াসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করতে পারবেন। এছাড়া, শিশুদের জন্য থাকবে নানা উপকরণ। এগুলো তারা ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
পিএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।