শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শনকালে এ কথা জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
চিলমারী নিয়ে আগামী দিনে সরকারের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিলমারী নৌ-রুটটি একটি আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে চালু হবে।
‘চিলমারী নদীবন্দর একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অনুমোদন হয়ে গেলেই এখানে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। চিলমারী নদীবন্দরে মালামাল ওঠানোর জন্য একটি বন্দর ও যাত্রী ওঠা-নামার জন্য আরেকটি আলাদা বন্দর করা হবে। ’
এসময় সাংবাদিকরা বিএনপির বর্তমান রাজনীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক এ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন গুজবনির্ভর রাজনীতি করছে। রাজনীতির পথ হারিয়ে তারা কখনো পেঁয়াজ, কখনো লবণ, কখনো পরিবহন নিয়ে গুজবের রাজনীতি করছে। তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়।
বন্দির পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, নৌ-নিরাপত্তা যুগ্ম পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক নিজাম উদ্দিন পাঠান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা। সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম প্রমুখ।
বন্দর পরিদর্শন শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে সকাল ৯টায় হেলিকপ্টারযোগে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এরপর তিনি চিলমারী টেরেডেস হোমস ফাউন্ডেশনে জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এফইএস/এইচজে