শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুবাইয়ে থেকে আসা বিজি-৬০১ প্লেনে সিগারেটের চালানটি আসে। ওসমানী বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে সামনের পার্কিংস্থলে রাখা গাড়িতে উঠানোর সময় সিগারেটের চালানটি জব্দ করে এপিবিএন’র সদস্যরা।
এ ঘটনায় মেহেদি শহীদ নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটক মেহেদি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার কামাল উদ্দিনের ছেলে।
লাগেজের ন্যায় দু’টি বড় কার্টনে থাকা সিগারেট কাস্টমস থেকে ছেড়ে দেওয়ার হয়েছে, এমন তথ্য জানায় ওসমানী বিমানবন্দর সূত্র। ওই চোরাচালানের ঘটনার সঙ্গে কাস্টমসের হাত রয়েছে, এমন অভিযোগও ওঠেছে।
এদিকে, জব্দ করা ২৩৮ কার্টন সিগারেট প্রথমে এপিবিএন’র হেফাজতে থাকলেও পরে সমঝোতার মাধ্যমে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ ছাড়াই কাস্টমসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সুপার আজগর আলী বাংলানিউজকে বলেন, জব্দ করা ২৩৮ কার্টন সিগারেটের মধ্যে ইজি-লাইট ও মন্ড ছিল ১৫৫ কার্টন এবং কালো প্যাকেটে ৮৪ কার্টন ৫৫৫ সিগারেট।
কাস্টমস সিগারেটের চালানটি না আটকানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো কার্বন দিয়ে মোড়ানো ছিল। যে কারণে স্কেনারে ধরা পড়েনি। তবে এপিবিএন’র কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, সেই কারণে তারা ধরতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর এপিবিএ’র পরিদর্শক দুলাল মিয়া সিগারেটের চালান জব্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সিগারেটের চালানটি পার্কিংস্থলে রাখা গাড়িতে উঠানোর সময় জব্দ করা হয়।
কাস্টমসের ছেড়ে দেওয়া সিগারেটের চালানটি সমঝোতার মাধ্যমে আবার কাস্টমসের হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করি। তাই সিগারেটের চালানটি তাদের হেফাজতে দিয়েছি। যে কারণে পুলিশ কোনো আইনি পদক্ষেপে যায়নি।
ওসমানী বিমানবন্দর এপিবিএন’র এসপি ইসরাইল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, এপিবিএন’র হাতে সিগারেটের চালানটি জব্দ হলেও এয়ারপোর্ট এরিয়ার মধ্যে হওয়াতে হেন্ডেলিং করবে কাস্টমস। তবে এটা অবশ্যই অপরাধ। আর যাত্রীর বিরুদ্ধে কাস্টমসই ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এনইউ/এসএ