শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াবিল মধ্যপাড়ার নিজ শয়ন কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুপুরে রাজমিস্ত্রী হইজন প্রামাণিককে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ও তার স্ত্রী রেখা খাতুনকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দু’টি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে নিহত রেখা খাতুনের বড় ভাই রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে তার বোন ও ভগ্নিপতি ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তাদের ছোট ছেলে লিখন অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পায়নি। পরে স্থানীয়রা এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অাঁড়ার সঙ্গে হইজন প্রামাণিককে ঝুলন্ত অবস্থায় ও রেখা খাতুনকে বিছানায় পড়ে থাকাতে দেখেন।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) বলেন, হইজন প্রামাণিকের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আর রেখা খাতুন বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। বিছানাটিও এলোমেলো দেখা গেছে। রেখা খাতুনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি)মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ