শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৃথক এই দুই ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে রাতে মরদেহ দু’টি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাওসার মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বিলকিস তার খালাতো বোনের সঙ্গে সেকশন ১২ ব্লক এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিক।
তিনি আরও জানান, টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিলকিসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে তার তালাক হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন জানান, দারুসসালাম টাওয়ারের পেছনে ১৯ নম্বর বাড়ির ৪ তলার ছাদের উপরে একটি রুমের দরজা ভেঙে রাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় মরদেহ পচা শুরু হয় এবং প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার এনামুল হকের সন্তান রাজু। তার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তিনি বনানীর একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছিলেন।
‘মরদেহটি এতটাই পচা ছিল যে দেখে মনে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলন্ত ছিল। সিআইডি ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারা ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। ’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দুই থানারই পুলিশ জানায়, ধারণা করা হচ্ছে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এজেডএস/জেআইএম