শুক্রবার (২২ নভেম্বর) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের বিমান বাহিনী প্রধান জেনারেল হাসান কুচক আকিউচ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, তুরস্কে কর্মরত বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, তুরস্ক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর থেকে আগত কর্মকর্তা, বাংলাদেশ অডিট বোর্ডের কর্মকর্তা, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আগত কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ প্রবাসী বাংলাদেশী উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তারিকুল আলম, এনডিসি, পিএসসি তার সূচনা বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আওতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। এছাড়া বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সামরিক সম্পর্কোন্নয়ন বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন তিনি।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক এবং সামরিক সম্পর্কেও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতুলনীয় অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রায় তুরস্কের সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকার বিষয়টি ব্যক্ত করেন।
এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩ , ২০১৯
টিআর/জেআইএম