শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জের ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নিহত হাসান টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের সি-ব্লকের মো. সালামের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এসএমএস দোহা বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার স্থলবন্দরের উত্তর পাশের প্রধান সড়কের পশ্চিমে পাহাড়ি পাদদেশে হাসানের মরদেহ দেখতে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, মরদেহের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিল হাসান। তিনি নয়াপাড়া ক্যাম্পে মোবাইলের দোকানের ব্যবসা করতো। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি টেকনাফে ভাড়াবাসায় থাকতো। প্রতিদিনের মতো দোকান থেকে টেকনাফে ফেরার পথে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
স্থানীয়দের ধারণা, বাংলাদেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জের ধরেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসবি/এসএ