শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে মুসলিমনগর এলাকার ইউনুছ সর্দারের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের ৪০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত শম্পা আক্তার মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পলমা গ্রামের সোহরাব মিয়ার মেয়ে। তিনি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ওই বাড়ির নিচ তলায় স্বামী সুমন মিয়ার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি।
অন্যদিকে সুমন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তারা ফতুল্লার এ বাড়িতে বসবাস করে গার্মেন্টসে কাজ করেন।
ফতুল্লার শাসনগাঁওস্থ বিসিক ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কাজল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ইউনুছ মিয়ার টিনের দুই তলা বাড়ির নিচ তলায় ১০টি এবং ওপরের তলায় ১০টি রুম রয়েছে। ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন সুমন মিয়া ও তার স্ত্রী শম্পা আক্তার।
‘শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় স্ত্রী ঘুমাচ্ছে বলে তাকে না জাগিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে মসজিদে যান সুমন। এর কিছুক্ষণ পরেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় তার স্ত্রী ঘরেই পুড়ে মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে শহরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বাড়িতে কোনো গ্যাসের চুলা নেই। আর কেউ ধূমপানও করে না।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএ/