পরিবহন নেতাদের দাবি পরিবহন ধর্মঘট কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে হচ্ছে না। নিজেদের ইচ্ছায় চালকরা ধর্মঘট করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মত অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
অঘোষিত ধর্মঘটের ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে বিকল্প যানবাহন নিয়ে চলাচল করলেও যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেন অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
চালকরা জানান, যে কোনো দুর্ঘটনার জন্য চালকরা একাই দায়ী নয়। দুর্ঘটনার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই, তাই যে আইনটি করা হয়েছে তা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।
তারা আরও জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। রাস্তায় বাস চালাতে গিয়ে কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।
ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, সকালে পঞ্চগড় যাওয়ার উদ্দেশে টার্মিনালে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনি। এখন বিকল্প যানবাহনে করে যেতে হলে তাকে ভোগান্তি পোহাতে হবে পাশাপাশি লাগবে বাড়তি ভাড়া।
দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি জানান, এটি সংগঠনের সিদ্ধান্ত না। কিছু চালক নিজেরাই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
আরএ