ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে দেশের জন্ম কত যন্ত্রণার ছিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে দেশের জন্ম কত যন্ত্রণার ছিল

ঢাকা: ১৯৭১ সালের গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম কতটা যন্ত্রণাদায়ক ছিল, তা উপলব্ধি করানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনীতে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের অধ্যাপক সঞ্জয় কে. ভরদ্বাজ, তুরস্কের  ফেরহাত আতিক, কম্বোডিয়ার সোমালি কুম, মিয়ানমারের ড. খিন জ উইন, যুক্তরাজ্যের জুলিয়ান ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের শাহরিয়ার কবীর।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেকেই গণহত্যার পর জন্মগ্রহণ করেছে। আমরা যারা অবরুদ্ধ দেশে থেকেছি তারা বুঝি কতটা যন্ত্রণাদায়ক সেই পরিস্থিতি। গণহত্যা এবং সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে না গেলে এর যন্ত্রণা আসলে বোঝা যাবে না। নতুন প্রজন্মকে আমাদের বোঝাতে হবে দেশের জন্ম কতটা যন্ত্রণাদায়ক ছিল।

১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের এ সভাপতি বলেন,
যারা গণহত্যা করে, তারা হারামজাদা। যারা সমর্থন করে তারাও হারামজাদা। বুঝতে চেষ্টা করুন ৩০ লাখ মানুষের বেদনা কী রকম ছিল। পাঁচ লাখের অধিক নারী নির্যাতিত হয়েছে, তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে।

মিয়ানমারকে বয়কট করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণহত্যাকারীদের শাস্তি হওয়া উচিত। যে সম্পদের লোভে গণহত্যার এ দেশকে সমর্থন করে, তারাও গণহত্যাকারী। একজন ঐতিহাসিক হিসেবে আপনাকে এ কথা মানতে হবে, যে এই দেশের স্বার্থের কথা বলে, সে গণহত্যা সমর্থন করছে, সে মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে, মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করছে। সে গণহত্যাকারী এবং সে দেশের লোকেরা যদি সেটা সমর্থন করে তারাও গণহত্যাকারী।

আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে অর্জন হয়নি। চূড়ান্ত রূপ পায় ১৯৭১ সালে। এরপর ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। এই ইতিহাস বিকৃতি রোধে এ ধরনের সম্মেলনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।

সোমালি কুম বলেন, আমি বাংলাদেশের গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছি। কম্বোডিয়ায়ও দুই মিলিয়ন লোক হত্যা করা হয়েছিল। গণহত্যার ইতিহাস রচনা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ বলেন, গণহত্যার ইতিহাস জানতে এ ধরনের সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গণহত্যা জাদুঘর স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভিন্ন। আমেরিকা-চীনের বিরোধীতা সত্ত্বেও তারা স্বাধীনতা লাভ করেছিল। যেখানে পাকিস্তান আর্মি গণহত্যা চালিয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসকেবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।