শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ১৫০ মিটার রোডওয়ের পাশাপাশি রেলওয়ে স্ল্যাবের কাজও দৃশ্যমান। এরই মধ্যে রোডওয়ে স্ল্যাবের চেয়ে রেলওয়ে স্ল্যাবের কাজ বেশি এগিয়েছে।
পুরো পদ্মাসেতুতে দরকার পড়বে মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় ১ হাজার ৭৪৩টি স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার ১৩৪টি স্ল্যাবের নির্মাণকাজ চলছে।
অন্যদিকে রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন মোট ২ হাজার ৯৫৯টি স্ল্যাব। ইতোমধ্যেই যার ২ হাজার ৯৪৬টি তৈরি হয়ে গেছে। বাকি ১৩টি স্ল্যাবের কাজ চলমান। পদ্মা নদীর মধ্যে শুধু স্প্যানের ওপর রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসছে। শুকনো জায়গায় বসছে টি-গার্ডার ও আই-গার্ডার। টি-গার্ডারের ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর আই-গার্ডার দিয়ে চলবে রেলগাড়ি।
এর জন্য মোট ৪৩৮টি টি-গার্ডার প্রয়োজন। যার মধ্যে তৈরি হয়েছে ৪৫টি। এছাড়া ৭১টি টি-গার্ডার ইতোমধ্যেই বসে গেছে পিলারের ওপরে। অন্যদিকে আই-গার্ডার প্রয়োজন ৮৪টি। যার মধ্যে ৪২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৬০টি আই-গার্ডার ইতোমধ্যেই বসে গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্প এলাকায় সমানতালে চলছে পিলার, স্প্যান, রেলওয়ে, রোডওয়ে, টি-গার্ডার ও আই-গার্ডারের কাজ।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সম্পন্ন হবে ২০২১ সালের জুন মাসে। সর্বশেষ পদ্মাসেতু প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ব্যয়ের পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২১ সালের জুনেই প্রকল্পটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ।
প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, সব চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতুর কাজ। সেতু উদ্বোধন এখন শুধু সময়ের ব্যপার। সেতুর সব কাজ চলছে সমানতালে। পিলারের পাশাপাশি স্প্যান, রোডওয়ে ও রেলওয়ের কাজও এগিয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএস/এইচজে