অগ্নিকাণ্ডের সাত বছর পূর্তিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন কারখানার সামেন নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা শেষে এ দাবি জানান আহত শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিকরা জানান, রোববার তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের সাত বছর পার হয়ে গেলেও অনেক আহত শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকের পরিবার অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করছেন।
তাজরীনে আহত নারী শ্রমিক ছবিতা রানী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আহত হওয়ার পর কিছু কিছু সংস্থা থেকে চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকা সহয়তা করা হয়েছিল। কিন্তু নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহত শ্রমিকরা কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। আমরা অনেক শ্রমিকই মানবেতর জীবন-যাপন করছি। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি, যেন তাজরীনের বর্তমান জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে আমাদের জন্য পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
তাদের সঙ্গে একই দাবে জানিয়ে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলোও।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা খাইরুল মামুন মিন্টু, মো. ইব্রাহীম ও মো. সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কয়েকটি সংগঠন মিলে ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই শ্রমিকদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছি। শেষ সময়ে এসে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি তারা ক্ষতিপূরণের নামে নাম মাত্র কিছু টাকা পেলেও পুনর্বাসনের অভাবে অনেকেই অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতিসহ (বিজিএমইএ) সরকারি সব দপ্তরে আবেদন করে আসছি, যেন বর্তমান ভবনটি ভেঙে সেখানে শ্রমিকদের জন্য নতুন ভবন করে দেওয়া হয়। এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় শ্রমিকরা যেন অন্তত সেখানে থাকতে পারেন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ১১৩ জন শ্রমিক মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক।
** তাজরীন ট্রাজেডির ৭ বছর, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এসআরএস