রোববার (২৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) সুশাসন বিষয়ক প্রধান আইসলিন বাকেরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির ব্যাপকতা রয়েছে-এ কথা আমি অস্বীকার করছি না।
‘দুদকে অনেককেই আসতে হচ্ছে, আরও অনেককে আসতে হবে। কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তি পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু কর্মপ্রক্রিয়ার পরিবর্তন সুশাসনের জন্য সত্যিই অন্তরায়। ’
প্রতিনিধি দলটির এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নিয়োগ-পদোন্নতি-পদায়নে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না করা গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। শিক্ষকদের অনেক সময় সরকারি অন্যান্য কাজে সম্পৃক্ত করে তাদের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট করা হচ্ছে।
‘শিক্ষকদের অন্য কাজে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তাদের ডিজিটাল উপস্থিতির ব্যবস্থা করার কথা সরকারকে বলেছি। ’
তিনি বলেন, দুদক শিক্ষাসহ ২৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবাপ্রদানের প্রক্রিয়াগত সংস্কারের জন্য সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ জাতীয় ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, পুলিশের সঙ্গে কমিশনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এসব তদন্তে পুলিশের তরফ থেকে সহযোগিতার কোনো ঘাটতি নেই।
‘শুধু পুলিশ নয়-প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তা-ই খতিয়ে দেখা হয়। বলতে গেলে সব সেক্টরেই কাউকে না কাউকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডিএফআইডি’র সুশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা তানভীর মাহমুদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ডিএন/এমএ