মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারে সকাল থেকেই শুরু হবে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুপুর ১টার মধ্যেই স্প্যান বসানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
এ স্প্যান বসানোর বিষয়ে পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, ‘৪ডি’ স্প্যান বসানোর কাজ আগামীকাল সকাল থেকে শুরু হবে। স্প্যানটি বর্তমানে পদ্মার চরে প্লাটফর্মে রাখা আছে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২ হাজার ৫০০ মিটার।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ‘৪ ডি’ স্প্যানটিকে বহন করবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন।
মূলসেতুতে ২৬২টি পাইলের ওপর বসবে ৪২টি পিলার, তার ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। চীন থেকে আরও দুইটি স্প্যানের সরঞ্জামাদি বাংলাদেশে এসেছে। এই দুইটি নিয়ে দেশে মোট ৩৩টি স্প্যান আছে। এরমধ্যে ১৬টি বসানো হয়েছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৩টির।
দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশবাসীর স্বপ্নের এ সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আর নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএ/