জানা যায়, সরকারি নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন। সরকারি আদেশ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী একই স্থানে তিন বছরের অধিক সময় একই চাকরি করতে পারবেন না।
বদলির আদেশ হলেও এখনো নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি ফরিদা ইয়াসমিন। এমনকি দেবীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) পদে নতুন কর্মকর্তা এলেও তাকেও দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। উল্টো তিনি স্বপদে বহাল থাকার জন্য তদবির করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ৭ই নভেম্বরের ১৩.০৮.২৭১২.০০২.০৪.০০১.১৭.-১৬৭২/১(১০) নং স্মারক অনুযায়ী, হাসনাৎ জামাল নামে এক কর্মকর্তাকে ৯ নভেম্বর দেবীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) হিসেবে যোগদানের আদেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নতুন কর্মকর্তাকে ফরিদার দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ হচ্ছে, খাদ্য গুদামে কয়েকশ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের ঘাপলা।
অভিযোগে রয়েছে, ফরিদা ইয়াসমিন দেবীগঞ্জে ২০১৬ সালে যোগদানের পর থেকে নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি বছর ধান, চাল ও গম সংগ্রহের সময় বস্তাপ্রতি ৩০ টাকা করে আদায় করেন তিনি।
এসব বিষয়ে ফরিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেনেরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির বাংলানিউজকে জানান, নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝে না দেওয়া চাকরিবিধির পরিপন্থী। তবে ওই কর্মকর্তাকে (ফরিদা) সেখানে রাখতে রাজনৈতিক চাপ আছে। তাছাড়া মানবিক কারণেও তাকে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচএ/