সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, গত রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে পিইসি পরীক্ষার্থী শিশুটিকে হাবিবুল্লাহ র্ধষণ করেন।
সোমবার সকালে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শেরপুর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর পুলিশ আসামি হাবিবুল্লাহকে ধরতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওই শিশুর মা জানান, সদ্যসমাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক হাবিবুল্লাহকে চুক্তি দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী হাবিবুল্লাহ প্রতি পরীক্ষার দিন তার শিশুটিকে স্থানীয় বাঘবেড় পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কাজ করেন। রোববার ছিল পরীক্ষার শেষ দিন। পরীক্ষা শেষ হলে হাবিবুল্লাহ শিশুটিকে পাহাড় দেখানোর কথা বলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। পরে তাকে ধর্ষণ করেন এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখান।
বাড়ি ফিরে ওই শিশু অস্বাভাবিক আচরণ করায় সন্দেহ হয় স্বজনদের। পরে কারণ জানতে চাইলে রোববার সন্ধ্যায় সে পরিবারের সদস্যদের কাছে সব খুলে বলে।
এদিকে ঘটনাটি শুনে অভিযুক্তকে ধরতে মাঠে নেমেছে নালিতাবাড়ীর পুলিশ-প্রশাসন। হাসপাতালে ছুটে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা শারমীন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফ আহমেদ তৌফিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভিকটিমকে শেরপুর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছি। সেখানে ভিকটিমের চিকিৎসাসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বাংলানিউজকে জানান, ভিকটিমের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচএ/