মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিষয়ে যানবাহন মালিক-চালক-শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বসাধারণকে অবগত করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রচারণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুল আলম বলেন, শুধু আমি নই, বিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্ব-শরীরে সড়কে নেমে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে শাস্তি দেওয়ার বিধান থাকলেও, শাস্তি দেওয়া মূল লক্ষ্য নয়। এর মূল লক্ষ্য মানুষ যেন সড়ক আইন মেনে চলে এবং নিয়মানুযায়ী যানবাহন চালাতে অভ্যস্ত হয়। আমরা বিগত এক বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি মামলা দিয়েছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা যেন তিনশ’ মামলাও করতে না পারি, সেই কামনাই করছি।
নতুন আইন অনুযায়ী গণপরিবহনে যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, বাসের দরজায় কিংবা ছাদে দাঁড় করিয়ে কিংবা কোনো পরিবহনেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে যানবাহন চালানো যাবে না, এরকম নানান বিষয় রয়েছে। যেগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবার নতুন আইনে চালকের পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহী হেলমেট না পরলেও জরিমানার বিধান রয়েছে। যেটা আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই বলা হয়েছে। তাই বরিশালে মোটরসাইকেল আরোহীদেরও হেলমেট পড়তে হবে।
এসময় ট্রাফিক পুলিশের এসি (উত্তর) এ কে এম ফাইয়েজুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. আব্দুর রহিম, রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএস/এসএ