ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিসিএম চুক্তি বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
জিসিএম চুক্তি বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

ঢাকা: নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (জিসিএম) বাস্তবায়ন করতে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজনীতির একটি হোটেলে জিসিএম নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন কথা বলেন তারা।  

বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্ক এই কর্মশালার আয়োজন করে।

জিসিএম সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বস্তবায়নে উদ্যোগ, পরবর্তীকালে করণীয় এবং ভবিষ্যত পর্যালোচনা পদ্ধতি কী হবে এবং বিশ্বব্যাপী জিসিএম-এর সমন্বয় পদ্ধতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় এই কর্মশালায়।  
আলোচনায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর চিফ অব মিশন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগেৰ্শন নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর গিওরগি গিগাউরি বলেন, ‘নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের সুবিধার্থে সব স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জিসিএম-এর উদেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক এই চুক্তিতে যে নির্দেশন নীতি আছে সেগুলো আমাদের মানতে হবে। জিসিএম বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অভিবাসী, নাগরিক সমাজ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি খাত এবং অভিবাসন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, জিসিএম আন্তর্জাতিক অভিবাসন উন্নয়নে একটি গুত্বপূর্ণ দলিল। এই চুক্তির বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। অভিবসান বিষয়ক যেকোনো সমস্যা সমাধানে সবাইকে জিসিএম বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, অভিবাসন নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবসময় সরব থেকেছে। তবে অভিবাসন বিষয়ে এখনও আমাদের অনেকচ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে সমন্বয়, সুশাসন ও জিসিএম বাস্তবায়নে।  

‘জিসিএম এর ২৩ টি লক্ষ্য রয়েছে। এটি বিশ্বের সর্বপ্রথম আন্তঃসরকারি সমঝোতা ভিত্তিক চুক্তি। যা সবক্ষেত্রে অভিবাসনকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দেখা হয়। সব জায়গায় অভিবাসীদের সুরক্ষা, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে কথা বলা হয়েছে এই চুক্তিতে। চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী অভিবাসন বিষয়ে সহযোগিতা, সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চর্চা ও আন্তর্জাতিক আইনের আলোকেই করা হয়েছে। যেটি বাস্তবায়নে সব রাষ্ট্র সম্মত হয়েছে। ’

২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাষ্ট্রীয় ও সরকার প্রধানরা আন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ে আলোচনায় বসেন।  

এর পরিপ্রক্ষিতে জাতিসংঘ 'নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন ফর রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগেৰ্ন্টস’ গ্রহণ করে। ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র এটাও অনুভব করে যে,বিশ্বব্যাপী মানুষের চলাফেরা এবং কৰ্মবর্ধমান সহযোগিতার জন্য একটি ব্যাপক উদ্যোগ ও কাঠামো প্রয়োজন।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে ২০১৮ সালে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (জিসিএম) সই হয়।  

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গবেষক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
জিসিজি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।