মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাটকল শ্রমিকলীগ বাংলাদেশ জুট মিল শাখার উদ্যোগে শ্রমিকরা মিলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এতে পাটকল শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ও বিভিন্ন মিলের সিবিএ’র নেতারা অংশ নেয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলের প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ জুট মিলের সিবিএ’র সভাপতি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চট্টগ্রাম হাফিজ জুট মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, পাটকল শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রামের ঢাকা বাগদাদ জুট মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উদ্দিন আজাদী, নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক কামাল আহামেদ, বাংলাদেশ জুট মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ও সিবিএ’র নেতা হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।
বিক্ষেভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির বাজারে জাতীয় মজুরি ২০১০ অনুযায়ী শ্রমিকরা যা পাচ্ছে তা দিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় অসুস্থ হয়ে শ্রমিকদের মৃত্যুর হার বাড়ছে। বর্তমানে মিলে শ্রমিকদের ১১ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া ও কর্মচারীদের ৩ মাসের এবং কর্মকর্তাদের ৪ মাসের বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। অবিলম্বে শ্রমিকদের প্রস্তাবিত মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান নতুবা আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন।
এসময় সমাবেশ থেকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পদত্যাগ দাবি করেন এবং পাটমন্ত্রী ঘোষিত দেশের রাষ্ট্রয়াত্ব সব পাটকল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) করার সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ