ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদ ডা. মিলনকে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদ ডা. মিলনকে স্মরণ

ঢাকা: স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন।

২৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে সোয়া ৮ টার সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. মিলনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা এবং মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।  

শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা করেন তার মা এবং বোন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডা. মিলনের মা সেলিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, মিলন ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনৈতিক সচেতন ছিল। সে চাইতো সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মেহনতী মানুষের মুক্তি, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বাস্তবায়ন। কিন্তু মিলনের স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। বর্তমান সমাজ দু’ভাগে বিভক্ত এক দিয়ে গরিব মানুষ, অন্যদিকে হয়েছে ধনীরা। ধনীরা বর্তমান সমাজে আরও ধনী হচ্ছে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। সমাজ থেকে এ বৈষম্য যেদিন দূর হবে সেদিন মিলনের স্বপ্ন পূরণ হবে।

এরপর পর্যায়ক্রমে ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, যুবলীগ ঢাকা উত্তর, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সাম্যবাদী দল, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতি, বিএনপি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৩৪ ব্যাচের মিলনের ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্ত বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তার রক্তদানের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।  

এ ঘটনার পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন গণ-বিস্ফোরণের রূপ ধারণ করে, ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়। ডা. মিলন নিহত হওয়ার দিনটিকে ‘মিলন দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দলগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আরকেআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।