ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইএসের টুপি পরে এজলাসে ঢোকার বিষয়টির তদন্ত হবে: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আইএসের টুপি পরে এজলাসে ঢোকার বিষয়টির তদন্ত হবে: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায়ে সরকার সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এ কথা জানান।  

হলি আর্টিজানের ওই হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে ইতালিয়ান, জাপানি নাগরিক ছিলেন।

আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক ও পুলিশের অফিসার ছিলেন, যারা এই দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য নিজেরা প্রাণ দিয়েছেন। মামলার ২১ আসামির মধ্যে হামলার দিন পাঁচজন অভিযানে নিহত হয়। এরপর আরও আটজন গ্রেফতার অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বাকি আট আসামির মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা আরও বলতে চাই, এ রকম চাঞ্চল্যকর এবং যেসব মামলা দেশের শেকড়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়, সেগুলো দ্রুত শেষ করতে পারছি, সেটাও মনে হয় সন্তুষ্টির কারণ। ’

‘দুর্ঘটনাটি যখন ঘটেছিল ১ জুলাই, সেসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, এসব অপরাধীদের দ্রুত বিচার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সে কথারই সত্যতা প্রমাণ হলো আজ। আমরা এ বিচার কার্যক্রম ও রায়ে সন্তুষ্ট। ’

গত ডিসেম্বর থেকে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ২১১ জন সাক্ষীকে অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচারিক আদালত এই রায়ে উপনীত হয়েছেন।

একজন আসামি খালাস পাওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো রায়ের কপি পড়িনি। রায়ের কপি পড়ে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর থেকে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে উচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। সেখানে গেলে পেপারবুক তৈরি হবে এবং দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে যেন হাইকোর্টের তালিকায় আনা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

আন্তর্জাতিক ভামূর্তি নিয়ে এক প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার তো মনে হয় সারাবিশ্বকে প্রমাণ করতে পেরেছি যে বাংলাদেশে এরকম হত্যাকাণ্ড হলে তার বিচার অত্যন্ত দ্রুত হয় এবং আইনি সব ফর্মালিটিস মেইনটেন করে করা হয়।

‘বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যকে হত্যার পর ২৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে একটা এফআইআর দেওয়ার জন্য, ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে মামলা শেষ করার জন্য। আর এই ন্যক্কারজনক মামলার কাজ শেষ করা হয়েছে দ্রুতই। ’

সারাদেশের ৫০০ স্থানে জঙ্গি হামলার মামলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই। যেখানে যেখানে ঝুলে আছে সেসব দ্রুত মামলা শেষ করার চেষ্টা করছি।  

আইএসের টুপি
জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের প্রতীক সম্বলিত টুপি পরে এক আসামির এজলাসে ঢোকার বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে। পুলিশের উপস্থিতিতেও আইএসের টুপি পরা অবস্থায় কীভাবে আসামি এলো- প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কি এটার জবাব দিতে পারবো? এটা কী করে হলো সেটা নিশ্চয়ই তদন্ত করা হবে। কিন্তু কীভাবে আসলো এটা আমি এখানে জবাব দিতে পারবো না, আমার পক্ষে জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটার তদন্ত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই আমি কথা বলবো।

** নুসরাত হত্যা ও একুশ আগস্টের পেপারবুক ৩১ জানুয়ারির মধ্যে

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।