ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয়: ড. মোমেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয়: ড. মোমেন

সিলেট: বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয়- এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আদালত চত্বরে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী সময়টা আমাদের স্বর্ণযুগ।

আগামী বছর মুজিববর্ষ এবং তারপর পরই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি করবে বাংলাদেশ। আমরা সবাই মিলে ওই সময়টাকে আরো উজ্বল করে তুলবো। তাই মেধা ও পরিপক্ষতা দিয়ে এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।  
 
তিনি বলেন ‘আমার পিতা ও মামা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। এ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি ও আমার ভাই যেন আইনজীবী হই। কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়ার কারণে আমার আইনে ডিগ্রি থাকলেও আইনজীবী হয়ে ওঠা হয়নি। ’

‘কোনো মামলার বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয়। এক্ষেত্রে আমাদের সবাই মিলে দেশ থেকে এটি দূর করতে হবে। ’

 
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ১০ তলা ভবন নির্মাণের দাবির বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জামিলুল হক জামিলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শংকর লাল দাস এবং জোহরা জেসমিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।  
 
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, সিলেটের মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান, সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এএফএম রুহুল আনাম চৌধুরী (মিন্টু), সরকারি কৌঁসুলি খাদেমুল মিল্লাত মো. জালাল।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আহমদ।
 
এবার আইনপেশায় ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া ২৭ আইনজীবীকে সম্মাননা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।  
 
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- অ্যাডভোকেট পঙ্কজ কুমার দাস, আতাউর রহমান, দীপর কান্তি দাস পুরকায়স্থ, আক্তার উদ্দিন আহমদ টিটু, বনানী দাস ইভা, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহ ফরিদ আহমদ, সুরজিত ভট্টাচার্য, আবু ইউসুফ মো. নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন আহমদ, সাধন চন্দ্র পাল, মো. নজরুল ইসলাম, মো. সাকী আহমদ, মোর্তুজা আহমদ চৌধুরী, ফয়জুর রহমান চৌধুরী শাহীন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আব্দুল হাই কাইয়ুম, শাহ আশরাফুল ইসলাম (আশরাফ), মো. লুৎফুল মজিদ চৌধুরী, মো. কামরুজ্জামান, গোপাল চন্দ্র পাল, মো. মাসুক উদ্দিন (শফিক), মো. আব্দুস ছালাম চৌধুরী, মো. সফিকুর রহমান, মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী (মামুন), সৈয়দ মহসিন আহমদ ও মুহিবুর রহমান সেলিম।
 
এছাড়া এবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সমিতির সদস্যদের ৩৬ মেধাবী সন্তানকে এককালীন বৃত্তি ও সনদ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝেও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
 
নৈশভোজ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন পিংকি। এছাড়া মনিপুরি নৃত্যও পরিবেশন করা হয় অনুষ্ঠানে। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য শিল্পী সান্তনা দেবী।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এনইউ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।