ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম বালু উত্তোলনের সব ধরনের সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়/ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় বালু উত্তোলনের সব ধরনের সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখের পরিচালনায় উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কালশিমাটি ও রামনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে বহমান করতোয়া নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরপর বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন, দুইটি শ্যালো মেশিন ও এক হাজার ফুট প্লাষ্টিকের পাইপ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এসময় বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন, শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হকসহ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জানা গেছে, প্রায় মাসখানেক ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ও দলীয় কিছু নেতাকর্মী করতোয়া নদীর উক্ত স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে করে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও অসংখ্য বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। ফলে ওইসব আবাদি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা-নির্বাহ করে আসা স্থানীয় গরীব কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বাংলানিউজকে জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবে না। তাই অভিযানটি চালানো হয়। একইসঙ্গে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
কেইউএ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।