ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অজয় রায় ছিলেন মুক্তচিন্তার জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
‘অজয় রায় ছিলেন মুক্তচিন্তার জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র’

ঢাকা: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, অভিজিৎ রায়সহ অন্য ব্লগার হত্যার বিচার বিলম্বের কারণে অজয় রায় বিচার দেখে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ক্ষোভ। আমি মনে করি, তিনি শারীরিকভাবে মৃত্যুবরণ করলেও চেতনাগতভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে অধ্যাপক অজয় রায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, অজয় রায় বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনের একজন ভক্ত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে নাগরিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তিনি তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মুক্তচিন্তার জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। তার বিদায়ের মাধ্যমে মুক্তচিন্তার জগতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।

তিনি আরও বলেন, অজয় রায়ের সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল তার ছেলে অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড। এ শোক তিনি সামলাতে পারেননি। তারপর থেকে তার শরীর ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় তাকে বারবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে, এটা প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছিলাম, ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার আদালতে সম্পন্ন করতে। কিন্তু সেটি হয়নি। হোলি আর্টিজান মামলায় যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ব্লগারদের মামলায় ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এর আগে অজয় রায়ের ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় জানান, সোমবার অজয় রায়ের মরদেহ বারডেমের হিমাগারে রাখা হবে। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বেইলি রোডের বাসভবনে। সেখান থেকে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে।

অধ্যাপক অজয় রায় সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।