গণহত্যা সংক্রান্ত এ আইনি লড়াইয়ে বিশ্ববাসীর চোখ এখন নেদারল্যান্ডসের পিস প্যালেসে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আইসিজেতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হবে।
১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এ মামলা পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়া কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া তিনজন রোহিঙ্গাও শুনানি চলাকালে আদালতে উপস্থিত থাকবেন।
পড়ুন>>রোহিঙ্গা গণহত্যা স্বীকারে সু চিকে ৭ নোবেলজয়ীর আহ্বান
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। মঙ্গলবার গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দল গণহত্যার বিষয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে।
গাম্বিয়ার পক্ষে এই মামলার প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) গাম্বিয়ার বক্তব্যের যুক্তি খণ্ডন করবে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যায়’ অভিযুক্ত মিয়ানমার।
পড়ুন>>রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ মামলায় লড়তে আন্তর্জাতিক আদালতে সু চি
নেদারল্যান্ডসের আদালতে দায়ের করা মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। তিনি নিজ দেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন।
তবে আদালতে মিয়ানমারের নেত্রীর অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি কেন এই মামলায় লড়তে চলেছেন, তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এরই মধ্যে রাখাইনে ‘গণহত্যা’র বিষয়টি স্বীকার করে নিতে অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাত নোবেলজয়ী।
একই সঙ্গে ওই ‘গণহত্যা’র জন্য সু চি ও মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহিতার আহ্বানও জানান তারা।
হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হবে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। মামলার বিষয়ে গাম্বিয়া তাদের যুক্তি এরই মধ্যে বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরেছে।
তবে মামলার শুনানি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। একাধিক সূত্র বলছে, যেহেতু সরকার এই মামলা করেনি, তাই মামলার শুনানি পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য হেগে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
টিআর/এমএ/