মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ বিরোধী সরকারের অলআউট প্রচেষ্টায় আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি।
এ ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ ছিল না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ। এ দেশে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ শুরু হলো। হঠাৎ করে একের পর এক টার্গেট কিলিং শুরু হলো। সবগুলো ঘটনা পর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এগুলো আমাদের দেশীয় সন্ত্রাসীদেরই কর্মকাণ্ড। তারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এর মধ্যেই ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঘন্যতম জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশিসহ ২২ জন নাগরিককে হত্যা করা হয়। এর পরপরই একটি ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হলো, এটি অন্য একটি দেশের জঙ্গিদের কাজ। অথচ সে দেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডারসহ কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ বিরোধী ডাক দিলেন। সে ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ঘুরে দাঁড়ালেন। এরপর এমন ঘটনাও ঘটেছে মা তার নিজের সন্তানকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করলাম কেন এ সন্ত্রাস? বাংলাদেশ কখনোই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বসে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানালাম।
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তরুণরা যারা ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা ভার্চুয়াল জগতে সারাক্ষণ থাকেন, তারা কোনকিছু দেখলে বিশ্বাস করার আগে যেন বিষয়টি যাচাই করে নেন।
তিনি বলেন, পরিবারকে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে, যেন সন্তানরা জঙ্গি মতবাদে উদ্বুদ্ধ হতে না পারে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে জঙ্গিবাদকে অবশ্যই নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/