বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন সাতারকুল প্রজাপতি গার্ডেন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে নতুন সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২৫ জন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ১৩ জন করে মশকনিধন কর্মী কাজ করবেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধন কর্মী এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, কাজে কোনো প্রকার ফাঁকি দেওয়া যাবে না, সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুধু পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ওপর নির্ভর করে না, আমাদের মানসিকতার ওপরও নির্ভর করে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার করবেন, আর অন্যরা রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি ময়লা করবে এটা কাম্য নয়।
সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন ডিএনসিসির আওতাভূক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একসময় গুলশানও ইউনিয়ন ছিল, আমি চাই সাতারকুল এলাকা গুলশান থেকেও উন্নত হবে। সম্প্রসারিত এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডে রাস্তা, ফুটপাত, ড্রেন ইত্যাদি নির্মাণের জন্য চার হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নতুন প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, কাঁচাবাজার ইত্যাদি থাকবে।
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। সেখানে ডিএনসিসির নিযুক্ত কচুরিপানা অপসারণ কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় মেয়র বলেন, এ সূতিভোলা খালটির মালিক ওয়াসা। আমরা লোক নিয়োগ করে খাল পরিষ্কার করে দিচ্ছি। শুধু আমরা পরিষ্কার করে দিলেই হবে না এজন্য প্রতিটি এলাকার মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিটি এলাকায় এ রকম নোংরা খাল রয়েছে। আর এ খাল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। তাই আমরা এবার খাল পরিষ্কার করে ম্যালাথিউন ওষুধ স্প্রে করে দিচ্ছি। যেন উৎসেই মশা ধ্বংস হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১,২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/