বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার তেয়ারীপুর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসিব ভান্ডারিয়া উপজেলা তেয়ারিপুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা হাবিব হাওলাদারের ছেলে।
শিশু হাসিবের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে হাসিব নিখোঁজ হয়। পরে ভগ্নিপতি মারুফ খানকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মারুফ পুলিশের কাছে হাসিবকে হত্যার পর মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, তার শ্বশুরের কাছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য এক লাখ টাকা চেয়েছিলেন। শ্বশুর টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শ্যালক হাসিবকে অপহরণ করে হত্যার পর শ্বশুর বাড়ির পাশে একটি নালায় পুতে রাখেন।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হায়াতুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, শিশু হাসিবের হত্যাকারী মারুফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
আরআইএস/