শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়ন এবং শান্তির সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ‘জন-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশল’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ এর পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নার্থে শান্তির সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। শান্তির সংস্কৃতি এমনই একটি ব্যাপক-ভিত্তিক ধারণা যা এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন পরবর্তী সময়েও শান্তির বার্তাকে শক্তিশালী করতে সমভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, সামনের বছরে বিশেষ করে জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তিসহ ‘বেইজিং+২৫’ বার্ষিকী এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন শান্তির সংস্কৃতি ধারণাকে আরও কার্যকরীভাবে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।
এবারের রেজুলুশনটি গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির সংস্কৃতির ২০ বছর পূর্তি উদযাপনকেই শুধু স্বাগত জানায়নি, বরং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও এজেন্ডা ২০৩০ এর পূর্ণ বাস্তবায়নে এর প্রয়োজনীয়তাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। উপরন্তু, রেজ্যুলেশনটিতে সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের কাজের তিনটি স্তম্ভের প্রতিটিতেই শান্তির সংস্কৃতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশ বাংলাদেশের এ রেজ্যুলেশন কো-স্পন্সর করেছে যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এ সমর্থন বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
টিআর/এসএইচ