অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অসুস্থ এক শ্রমিকের মৃত্যু এবং প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদর যুগ্ম-আহায়ক খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল হওয়ায় অনশনে অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে।
প্লাটিনাম জুটমিলের মৃত শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের জানাজা সকাল ১০টায় মিলের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে খুলনা বিভাগীয় শ্রম কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নগদ ৫০ হাজার টাকা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে মরদেহ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন।
অনশনরত শ্রমিকরা বলেছেন, এবার আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, মজুরি কমিশন না নিয়ে আমরা এখান থেকে উঠবো না। বেঁচে থাকার এবং রুটিরুজির দাবি মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে আন্তরিক বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় খুলনা যুগ্ম-শ্রম অধিদপ্তরের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন এবং অনশনে এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকদের মজুরি কমিশনের বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বৈঠক ডেকেছে। সেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা হবে। সেখানে মজুরি কমিশনের বিষয় সমাধান হবে। না হলে তিনি সবসময় শ্রমিকদের পাশে আছেন এবং থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃত শ্রমিকের পরিবারকে শ্রম দফতর থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শ্রমিকরা ১১দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/