তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছেন না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ফলে ভারতে বেড়াতে কিংবা ব্যবসার কাজে বাংলাদেশিদের যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
ডাউকি কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হলে পর্যটকরা যেতে পারবেন।
ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড়ও ছিল তুলনামূলক বেশি। কিন্তু পর্যটকরা তামাবিল গিয়ে ফিরে আসেন।
পর্যটকদের অনেকে জানান, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন তাদের আটকে দেয়।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শিলংয়ে অস্থিরতা রুখতে রাজধানীর কিছু অংশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। রাজ্যজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা। ফলে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এনইউ/জেডএস