ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রিটিশ নির্বাচনে রুশনারার পর আফসানার চমক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
ব্রিটিশ নির্বাচনে রুশনারার পর আফসানার চমক

সিলেট: যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশি নারীদের জয়জয়কার। রুশানারা, টিউলিপ, রূপা ও আফসানা, এই চার বাংলাদেশি নারী নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেখাচ্ছেন লন্ডনের মাটিতে।

এদিকে ব্রিটিশ নির্বাচনে জয়লাভ করা চার নারীর মধ্যে দুইজনই সিলেটের। বিশ্লেষকদের মতে, লন্ডনে ‘সিলেটি’দের প্রভাব নতুন নয়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সিলেটের মেয়ে রুশনারা আলী। লেবার দলের হয়ে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ৪৪ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।

২০০৭ সালে লেবার পার্টি থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন রুশনারা। ২০১০ সালের ৬ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্রিটেনে প্রথম বাঙালি হিসেবে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। পরে আরও দু’বার এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

রুশনারা আলী সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ভুরকী গ্রামের প্রবাসী আফতাব আলী ও রানু বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

অন্যদিকে, লেবার পার্টির হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ব্রিটেনের এমপি নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও রূপা হক। রূপা হকের পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলায়।

এবারের নির্বাচনে বাঙালিদের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন আরেক প্রার্থীর নাম। তিনিও সিলেটের মেয়ে। তার নাম আফসানা বেগম। প্রথমবার নির্বাচন করেও তিনি টিউলিপ-রুশনারা-রূপার পথেই রয়েছেন। তিনিও লেবার পার্টির হয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে জয়লাভ করেন।

টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর ও মেয়র মনির উদ্দিন আহমদের মেয়ে আফসানা। তার পৈতৃক নিবাস বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায়।  

আফসানা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে। তিনি লন্ডনের কুইনমেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলটির লন্ডন অঞ্চলের সদস্য হিসেবে। এ পদে তিনিই প্রথম বাঙালি বংশোদ্ভূত।

এবারের নির্বাচনে ১০ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যাদের মধ্যে সাতজনই নারী। তাদের মধ্যে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে লড়েছেন সাতজন। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাট থেকে দুইজন এবং কনজারভেটিভ পার্টি থেকে একজন এই নির্বাচনে অংশ নেন।

আরও পড়ুন
**৪ বাংলাদেশি নারীর নিরঙ্কুশ জয়
**একচেটিয়া জয় পেলো বরিসের কনজারভেটিভ

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এনইউ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।