শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাদাদিয়া গ্রামের ছয় ভাইদের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট দিনগত রাত ২টার দিকে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাদাদিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন (৫৫) নামে এক প্রবাসীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং মুখে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে আসামি দাউদুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় নিহত জামাল উদ্দিনের পুত্রবধূ জাকিয়া আক্তার বাদী হয়ে আটজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
এর আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জামাল উদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন বলে দাউদের শ্বশুর শাহ আলম গংদের মানে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ১৫ মে এক নারীকে নির্যাতন করার অপরাধে দাউদসহ আটজনের নামে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে দাউদ আত্মগোপনে চলে যান।
সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দাউদুল ইসলাম ওরফে জামাই দাউদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও নারী নির্যাতনসহ তিনটি মামলা রয়েছে। জামাই দাউদ ভাদাদিয়া গ্রামের ছয় ভাইদের বাড়ির শাহ আলমের মেয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থেকে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
দাউদ দাগনভূঞা উপজেলার মাতৃভূঞা ইউনিয়নের বাগেরহাট গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। নিজ এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার পর জনরোষের ভয়ে বিগত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে (আত্মগোপনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত) শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/