সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধটির সৌন্দর্য বর্ধনে গত একমাস ধরে গণপূর্ত বিভাগের প্রায় একশ শ্রমিক কাজ করছেন। নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের কাজের সুবিধার্থে গত ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল স্মৃতিসৌধসহ গোটা এলাকার প্রাঙ্গণ ঘষে-মেজে পরিষ্কার করা হচ্ছে। রং তুলির আঁচড়ে রাঙানো হচ্ছে সৌধের পাদদেশেসহ পায়ে চলার রাস্তা। লাল সবুজের সমারোহে সাজানো হচ্ছে ফুলের বাগানগুলো। ছোট্ট গাছের সারিতে তৈরি করা হচ্ছে লাল-সবুজের পতাকা। এছাড়া চলছে স্মৃতিসৌধের বাইরে ভেতরে আলোকসজ্জ্বার কাজও। নিরপত্তার জন্য এবার স্মৃতিসৌধ এবার স্মৃতিসৌধ এলাকার ৩২টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও। সমানভাবে চলছে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থার মহড়াও।
জনসাধারণের অভিযোগ, জাতীয় স্মৃতিসৌধের বাইরে মহাসড়কের পাশে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রটোকল অনুযায়ী সরকার ও প্রশাসনের অন্যান্যরা এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে সর্বস্তরের জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধ।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকেই স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নজরদারি বাড়িয়েছি। বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশ ও ওভার ব্রিজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে বাড়তি পুলিশি চেকপোস্ট।
এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। সাভারের আমিনবাজার থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই এ মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাতে কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারবো৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ