অন্যদিকে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিল পাটকল শ্রমিক লীগ। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, এ সময়ের মধ্যেই শ্রমিকদের দাবি পূরণ হবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজএমসি) ভবনে পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব তথ্য জানায় সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ, পাটকল শ্রমিক লীগ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সরদার আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা ৯ ডিসেম্বর থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আমাদের আন্দোলন চলমান ছিল। আমাদের ১১ দফা দাবির মধ্যে অন্তত দুইটি (২০১৫ সাল অনুযায়ী মজুরি কমিশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা) চালু করতে হবে। আমরা ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে আবারও অনশন কর্মসূচিতে যাবো।
পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। তাই আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানাবো তারা যেনো ৩১ ডিসেম্বর পর্যম্ত আন্দোলন স্থগিত রাখে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।
মোতাহার হোসেনের বক্তব্য চলাকালে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে। আমরা ঢাকাতে অবস্থান নেব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
পরে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন পাটকল শ্রমিক লীগের কর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের অনেককে তারা লাঞ্চিতও করেন।
তবে সব পক্ষের কথা শুনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তিনি শ্রমবান্ধব। আমি শ্রমিকদের দাবি পূরণ হলেই খুলনায় যাব। শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করবো।
কবে নাগাদ দাবি পূরণ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা দুই পক্ষ দুইটা তারিখ বলেছেন। আশা করি এ সময়ের মধ্যেই দাবি পূরণ হবে। তবে তাদের ১১ দফার এক দফা হলো- ২০১৫ সালের জুলাই মাসের গেজেট অনুযায়ী বেতন। সে অনুযায়ী ৮ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি তারা পাবেন, এটুকু বলতে পারি।
এছাড়া আন্দোলন স্থগিত করায় শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইএআর/এসএ