রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
একই উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায়ও তার আরেকটি গোডাউন রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। বিস্ফোরণের পর থেকে মালিক পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে প্রথমে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরেই আরও দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়। এতে মুহূর্তেই ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় সমস্ত এলাকা। এমনকি গোডাউনের ছাদ ও ইট উড়ে গিয়ে আশপাশের প্রায় ২০/২৫টি বাড়ির জানালার থাই গ্লাস ভেঙে যায়। এছাড়া গোডাউনের পাশের ভবনের দেয়ালে ফাটল এবং দোকানগুলির সাটার দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসীন বলেন, এ গোডাউনটিতে সোডিয়াম থায়ো, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট মনোহাইড্রেট ও ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সোডিয়াম থায়ো থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, এখানে গোডাউন করার কোনো অনুমোদন ছিল না।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দেবনাথ বলেন, কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এরপর থেকেই আমরা অবৈধ কারাখানার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। ইতোমধ্যে প্রায় ২৪টি কারখানা ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিস্ফোরণের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেরানীগঞ্জ সার্কেল কামরুল হাসান সোহেলকে আহ্বায়ক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, আমার এলাকায় কোনো অবৈধ কারখানা বা গোডাউন থাকবে না। আমি ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জের সব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করেছি। অবৈধ কারখানা ও গোডাউনের তালিকা করে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০/আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা
এসআরএস/আরএ