রোববার (৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষের উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি জানান, মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ঐতিহাসিক মুহূর্তে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হচ্ছে। সেদিন পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে শুরু হতে ক্ষণগণনা। ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, মুজিববর্ষ উদযাপন আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যময়। এই উপলক্ষে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাতে নেওয়া হয়েছে সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির। গঠন করা হয়েছে দুইটি জাতীয় কমিটি। এছাড়া জাতি এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে। মুজিববর্ষ উদযাপনে আর্মড ফোর্সেস, সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করবেন।
তিনি জানান, ১০ জানুয়ারি কাউন্টডাউন উদ্বোধনের সময় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের একটি প্রতীকী আবহ তৈরি করা হবে। এরপর বিকেল ৩টায় অতিথিরা আসন গ্রহণ করবেন এবং বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে ক্ষণগণণার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী আয়োজন দেখতে ১০ থেকে ১২ হাজার অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে মোট ৫৫ টি জায়গায় ক্ষণগণনার মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। এরপর ১৭ মার্চ আলোচনা এবং ফায়ারওয়ার্কসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দু’টি পর্বে উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষে সময়কে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এইচএমএস/এএটি