হাসপাতালে আসার পর বিড়ালটি হঠাৎ লাফ দিয়ে নিচে নেমে যায়। তবে, বাড়ি ফেরার সময় আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিড়ালের সন্ধান না পেয়ে মনোকষ্টে বাড়ি ফেরেন ওই দম্পতি।
পরে রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নাজমা। একপর্যায়ে দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিপরীত বিল্ডিংয়ে তেতলায় একটি এয়ার কন্ডিশনমেশিনের বাইরে বিড়ালটিকে আটকে থাকতে দেখা যায়। অনেক ডাকাডাকি করে এবং নিচ থেকে কোনোভাবেই বিড়ালকে নামানোর উপায় না পেয়ে দ্বারস্থ হন যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তাদের। বিষয়টি শুনে-বুঝে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাড়িবহরে আসেন হাসপাতাল কম্পাউন্ডে।
এরপর বিশাল লম্বা মই লাগিয়ে উপরে উঠে উদ্ধার করেন নাজমা বেগমের পোষা শখের বিড়ালকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিচে নেমে সুস্থ অবস্থায় বিড়ালটিকে তুলে দেন নাজমা বেগমের হাতে। এতে তিনি আনন্দিত হয়ে বিড়ালকে কোলে তুলে নেন।
উচ্ছ্বসিত হয়ে নাজমা বেগম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের প্রতি।
এদিকে খোদ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিড়াল উদ্ধার অভিযান দেখতে আশপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, টানা ১৯ ঘণ্টা আটকে থাকা বিড়ালটি উদ্ধার করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। মানুষের কল্যাণ আর সেবাই আমাদের কাজ। আমরা বিড়ালটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
ইউজি/এএটি