সোমবার (৬ জানুয়ারি) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-১ এ তাসলিমা বেগম রেনুর ছেলে তাহসিন আল মাহির ও কন্যা তাসমিন মাহিয়া তুবা এবং তাদের খালাতো ভাই সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটুর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন সাবরিনা সোবহান।
নিহত রেনুর পুত্র তাহসিনের বয়স ১১ এবং কন্যা তুবার বয়স ৪ বছর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, নিউজ২৪, রেডিও ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।
এসময় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, কয়েকমাস আগে উত্তর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক মা তার সন্তানদের ভর্তির খবর নিতে গিয়েছিলেন। সেই মাকে গুজব রটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সন্তান দু’টি এখন তাদের খালার কাছে প্রতিপালিত হচ্ছে। ‘বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান সেই সন্তানদের খবর জানার পরে ডেকে এনে দশ লাখ টাকা অনুদান দিলেন। এই টাকা ব্যাংকে থাকবে। ১৫ বছর পর্যন্ত এই টাকা থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে এদের ভরণ-পোষণ ও লেখাপড়ার খরচ চলবে। ’
কালের কণ্ঠ সম্পাদক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান অত্যন্ত দয়াশীল একজন মানুষ। তিনি শিশু দু’টির পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি তিনি সব সময় তাদের খোঁজ-খবর নেবেন। এই মানুষগুলোর কারণেই আমাদের সমাজ টিকে থাকে, সমাজের অসহায় মানুষরা ভরসার জায়গা পায়। আমরা সাবরিনা সোবহানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আশা করবো শিশু দু’টি উচ্চশিক্ষিত, প্রকৃত অর্থে সত্যিকারের মানুষ হবে।
তাসলিমা বেগম রেনু ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন সন্তানকে ভর্তি করার জন্য খোঁজ-খবর নিতে। সেখানে শিশু চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
তার ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বলেন, তাসলিমা বেগম রেনু মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি ওয়ারলেস গেট থাকতেন। আড়াই বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। রেনুর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরা থানার সোনাপুর গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসই/এএটি/এএ